নরক - মনীষ মুখোপাধ্যায়
লেখক: মনীষ মুখোপাধ্যায়
প্রকাশন: অরণ্যমন প্রকাশনী
নরক জায়গা তা এবং সেটার মধ্যে বিরাজমান প্রাণী দেড় নিয়ে আমাদের নানান ধারণা আছে| এই নিয়ে নানান ধরণের গল্প আমরা শুনে থাকি|সেই সব প্রাণী দেড় মধ্যে একটা একধরণের প্রাণীর ব্যাপারে আমরা প্রায় শুনে থাকি এবং সেটা হলো পিশাচ| এই বইটিতেও লেখক পিশাচ জাতি কেই ঘিরে দুটো গল্পের সৃষ্টি করেছেন| একটি গল্পের নাম নরক এবং অন্যটির নাম চুবুর-ব্রোল-ওয়া| এবার দুটো গল্পকে একটু সংক্ষেপে ধ্যাকা যাক|
নরক: সোমনাথ হাজরা একজন আন্টিকের ব্যবসাদার যদিও তারমধ্যে বেশিরভাগ বস্তুই অসৎ পথে তিনি হস্তগত করেছেন| তিনি কোনো এক দুর্ঘটনাতে তার পরিবার সহো দু চোখের দৃষ্টিও হারান| বাস্তবে তিনি উত্তরবঙ্গের একটি বাড়ি তে থাকেন| একরাতে তিনি বিশু পদ্দারম ডেভিড আর ধীরাজ কে ডেকে পাঠান এবং তাদেরকে নেক্রোনোমিকন নামক এক প্রঐতিহাসিক বই চুরি করে আন্তে বলেন| এরম কাজ বিশু পোদ্দার সোমনাথ বাবুর জন্য আগেও করেছেন| নেক্রোনোমিকন বই টি আসলে প্রেত আত্মা দেড় বই এবং যার কাছে এই বইটি বর্তমানে আছে তিনি একজন নামকরা লেখক| তিনি বইটি পাওয়ার পর থেকে নানান রকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে যার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটা অর্ধ মানুষ অর্ধ ছাগল রুপি একটি দেহ কে তার বাড়িতে ঘুরে বেড়াতে দেখা| এরপর নানান ঘটনা ঘটতে থাকে সবার জীবন ঘিরে|
চুবুর-ব্রোল-ওয়া: কলকাতা মেডিকেল কলেজে ঘটে যাওয়া একটি অদ্ভুত প্রকিরিটির ঘটনা কে ঘিরে লেখা এই গল্পটি| অশেষ এক গরিব কাঠের মিস্ত্রির ছেলে, জেক তার বাবা অনেক কষ্টে ডাক্তার বানাতে চান| অশেষ এর সবচে প্রিয় সিনিয়র হচ্ছে বদ্রীনাথ, যিনি কলেজের সেরার সেরা| বদ্রীনাথ খুঁজে বের করতে চায়ে এমন এক পদ্ধতি যাতে মৃত মানুষ কে কিছু সময়ের জন্য জীবিত কোরে তোলে| এই পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে সে কর্মরত হয়ে এবং একটি ভয়ঙ্কর বিপদের স্মুখীন হয়ে| যেই ভয়ঙ্কর শক্তি আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকে গোটা মেডিকেল কলেজ কে| অশেষ নিজের জোত সাদ্ধ চেষ্টা করতে থাকে এই বিপদ এর হাত থেকে সবাইকে বাঁচাতে| সেই পথে অশেষ এগোতে থাকে এবং তাকে সম্মুখীন হতে হয়ে এক চিরপরিচিত দ্বন্দ্বের|
গল্প গুলো ছোট হইলো খুব গুছিয়ে লেখা হয়েছে| তবুও পড়তে পড়তে কিছু জায়গায় মনে হয়েছে আর একটু ব্যাখ্যা পেলে ভালো হতো বা গল্প তা ঠিক ভাবে যেন শেষ হলো না| সব মিলিয়ে বই তা একবার পড়াই যায়|
রেটিং: ৩.৮/৫
Comments
Post a Comment