ছাল -- অর্ঘ্যজীত গুহ
গল্প: ছাল
লেখক: অর্ঘ্যজীত গুহো
প্রকাশনায়: কল্পবিশ্ব পত্রিকা
সাপ জিব টা অনেকেই ভয়ে করে থাকি আবার আমাদের মধ্যেও এরমো অনেক ব্যক্তি আছেন যারা তাদের পূজা করে থাকে। সে যাই হোক আসল কথা হচ্ছে তাহারাও একটি সজিব প্রাণী। আঘাত করলে তাহাদেরও কষ্ট হয়, তাহাদেরও রক্তক্ষয় হয় এবং তাদেরও পরিবার থাকে। যখন আমরা নিজেদের সাহস বা ক্ষমতা দেখিয়ে তাদের আঘাত করি বা তাদেরকে মেরে ফেলি, তার পরে তারাও কি নানান রূপে আঘাতকারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম? আপনারা ভাবছেন আমি সাপ নিয়ে এতো কথা কেনো বলছি! আসলে এই গল্পের সিংহভাগ তাই সাপ কে ঘিরে। এবার গল্পে আসি। প্রতীক ও মনীষা তাদের ছোট্ট ৩ বছরের শিশু কে নিয়ে সুখে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছে। হটাত সেই সুখের জিবনে বাঁসা বাঁধলো একটি চামড়ার রোগ। রোগ টা হয় মনীষার (এখানে আমি ক্ষমা ছেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে, তার কারণ হলো লেখক অনেক গবেষণা করে রোগটার সাইন্টিফিক টার্মিনোলোজি দিয়েছে ঠিকই, তবে সেটা মনে করতে গেলেই মাথার ভিতর টা কেমন গম গম করে ওঠে)। সে যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি, মনীষা রোগ টি খুব অদ্ভুত ধরনের এবং ডাক্তার দেখিয়েও ঠিক সুরাহা হয় না। এদিকে প্রতীকের দুশ্চিন্তার অব্দি নেই। এই চিন্তার মাঝে একদিন সে তার অনশরের প্রজেক্ট লিড মাইকেলকে মনীষা রোগের কথা টা বলে ফেলে। মাইকেল তাকে আশ্বাস দেয় যে সে তার বাবার সাথে এই নিয়ে আলোচনা করবে। এইদিকে প্রতীকের সর্বক্ষণ মনে হচ্ছে কেউ যেনো তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে, এমনকি রাতে শুতে গিয়েও প্রতীকের মনে হলো তার শরীরে কেমন হার হিম করে দেওয়া স্পর্শ পেলো। এই সব ভাবতে ভাবতেই সে পিছিয়ে গেলো সিকিমের এক ঘটনায় যেখানে মনীষা একটা সাপ কে প্রচন্ড আঘাত করে মেরেছিলো। সাপ কে চিরকালই ভয় ও ঘেন্না করে প্রতীক। পরের দিন অফিস থেকে ফেরার সময় সে নানান রকম শব্দ এবং একটা বিশেষ প্রকরারের গন্ধ নিজের গাড়ি তে ওঠার আগে। তারপর ফেরার পথে একটা জিনিস শুনে তাকে মাঝ পথেই দাড়িয়ে যেতে হয়। অবশ্য কিছুক্ষন দাড়ানোর পরে সে মাইকেল এর কাছ থেকে মানসীর রোগের সুরাহার ব্যাপারে একটা সুখবর পায়ে। সেই আনন্দে সে নানান জিনিস নিয়ে ঘরে ফেরে এবং রাতের আহার সেরে ঘুমোতে যায়। তারপরেই ঘটে যায় এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। পড়তে পড়তে একসময় মনে হচ্ছিল যেনো নিজেই সেই ঠান্ডা দৃষ্টি টা অনুভব করছি। সবার শেষে একটা কথাই বলবো অসাধারণ লেখা টা। এরম আরো অনেক গল্পের অপেক্ষার রইলাম।
Comments
Post a Comment