Posts

ধুমাবতির অভিশাপ ( ধুমাবতির মন্দির #2)

Image
বই : ধুমাবতির অভিশাপ ( ধুমাবতির মন্দির #2) লেখক: মনীষ মুখোপাধ্যায় প্রকাশনায়: বেঙ্গল ট্রয়েকা পাবলিকেশন "তিনি রক্ষা করেন এবং তিনি ধ্বংস করেন"। এই কটি শব্দের ওপর ভর দিয়েই যেনো দাড়িয়ে রয়েছে যুগ যুগ ধরে সব দেব দেবীর ইতিহাস। ধুমাবতির মন্দির বই টা পড়ার পর অধীর অপেক্ষার ছিলাম তার পরবর্তী বইটা। বইটার শেষে লেখক যেই দৃশ্য টা পাঠক দের কাছে তুলে ধরেছিল তাতে e কথাটি স্পষ্ট ছিলো যে পরের বই আমরা উপহার স্বরূপ পেতে চলেছি। তবে ভাবতে পারিনি যে এত শীঘ্র পাবো। ধুমাবতির অভিশাপ বইটা পড়তে গিয়ে একমুহুর্তের জন্য মনে হয়েনী যে আগের গল্প টা আর এই গল্প তার মধ্যে কোনো ফাঁক রয়ে গেছে। লেখক খুব যত্নে দুটো গল্পের আঠারো বছরের অন্তর কে এক সুতায় যেনো গেতে দিয়েছেন। আগের গল্পের সূত্র ধরেই এই ঘটনা ঘটেছে সাউ পরিবার কে কেন্দ্র করে। তফাৎ সুদু একটাই আগের সেই অল্পবয়স্কো তান্ত্রিক এখন অনেক জ্ঞান লাভ করে হোয়ে উঠেছেন শক্তিবাবা। মানুষের মনের লোভ লালসা থেকেই জন্ম নায় ভিধ্বংসি রূপ আর সেই তৃষ্ণাকে মেটাতেই তিনি আহ্বান করে ধুমাবতি দেবীর মত কোনো দেবীকে বা তার কোনো স্বরূপ কে। আর যখন এই দেবীর মর্ত্যলোকে আহ্বান হয়ে তখন
Image
Book Name: The Tantulus Redemption Author: Yudhi Raman (Pen Name) Publication: Harper Collins Publishers India The Tantulus Redemption is a book that easily qualifies among the best thriller books I have read so far. After starting to read the book I simply turned the pages till the end as if under a spell. Set against the backdrop of the ongoing civil war in Congo, Africa and the trading floors of a renowned company in London. Jurvir have got a sad past but was able to overcome it to become one of the top executives of the trading company. Besides closing multi million dollars bills for his company he keeps track of the performance of a conglomerate based out of India. One such deal lands him in Africa where he accidentally finds himself in tantalum deposit in place of gold. Tantalum is an ore that forms an inseparable part of our mobile devices. The extraction of this mineral is done at the cost of numerous lives and destruction of humanity. While on this expedition he comes across a

চক্রব্যূহে প্রখর রুদ্র - কৌশিক রায়

Image
  নাম: চক্রব্যূহে প্রখর রুদ্র লেখক: কৌশিক রায় প্রকাশন: বিভা পাবলিকেশন মানুষের জীবনে এমন একিছু মুহূর্ত আসে যখন তাদের কিছু ফেলে আসা অন্ধকার অতীত তাদের বর্তমান কে এক কালো চাদোরে  ঢাকা দিয়ে যায়|  কৌশিক রায় এর লেখা চক্রব্যূহে প্রখর রুদ্র তেও আমরা এরূপ একটি ঘটনার উল্লেখ পাই বা ইটাও বলা যে বইটির মূল অংশ টা এটিকে ঘিরে| আমরা জটায়ু বাবুর লেখাতেও অনেক সময় প্রখর রুদ্রর উল্লেখ পেয়েছি| সে যাই হোক এই বইটি তে ফেরা যাক| রুদ্র পরিবার কে ঘিরে লেখা হয়েছে বইটা| শেখার রুদ্র এবং শিবানী রুদ্র লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত| সেখারবাবুর স্ত্রী কুন্তলা দেবী একসময় পেশায় উকিল ছিলেন কিন্তু র দোস্ত গৃহস্তির মতো ওনার যমজ মেয়ে জন্মের পর উনিও তাদের বোরো করাতেই নিজের যোবন কাটিয়েছেন| ওনার দুই মেয়ের নাম শিবানী রুদ্র এবং ইন্দ্রানী রুদ্র| বাড়ির সবচে বোরো হচ্ছেন প্রখর রুদ্র, যিনি শেখার বাবুর দাদা| একসময়  নানান জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন, এরোমো সোনা যে ওনার কোনো এক বন্ধু ওনার বিভিন্ন ঘোড়ার অভিজ্ঞতটা কে পুথিবন্দক করে বেশ নাম কামিয়েছে| এখানে বলে রাখা ভালো প্রখর রুদ্রর একটি অতীত আছে| এ বিষয়ে ওনার বাড়ির কারুর

নরক - মনীষ মুখোপাধ্যায়

Image
 বইয়ের নাম: নরক লেখক: মনীষ মুখোপাধ্যায়  প্রকাশন: অরণ্যমন প্রকাশনী নরক জায়গা তা এবং সেটার মধ্যে বিরাজমান প্রাণী দেড় নিয়ে আমাদের নানান ধারণা আছে| এই নিয়ে নানান ধরণের গল্প আমরা শুনে থাকি|সেই সব প্রাণী দেড় মধ্যে একটা একধরণের প্রাণীর ব্যাপারে আমরা প্রায় শুনে থাকি এবং সেটা হলো পিশাচ| এই বইটিতেও লেখক পিশাচ জাতি কেই ঘিরে দুটো গল্পের সৃষ্টি করেছেন| একটি গল্পের নাম নরক এবং  অন্যটির নাম চুবুর-ব্রোল-ওয়া|  এবার দুটো গল্পকে একটু সংক্ষেপে ধ্যাকা যাক| নরক: সোমনাথ হাজরা একজন আন্টিকের ব্যবসাদার যদিও তারমধ্যে বেশিরভাগ বস্তুই অসৎ পথে তিনি হস্তগত করেছেন| তিনি কোনো এক দুর্ঘটনাতে তার পরিবার সহো দু চোখের দৃষ্টিও হারান| বাস্তবে তিনি উত্তরবঙ্গের একটি বাড়ি তে থাকেন| একরাতে তিনি বিশু পদ্দারম ডেভিড আর ধীরাজ কে ডেকে পাঠান এবং তাদেরকে নেক্রোনোমিকন নামক এক প্রঐতিহাসিক বই চুরি করে আন্তে বলেন| এরম কাজ বিশু পোদ্দার সোমনাথ বাবুর জন্য আগেও করেছেন| নেক্রোনোমিকন বই টি আসলে প্রেত আত্মা দেড় বই এবং যার কাছে এই বইটি বর্তমানে আছে তিনি একজন নামকরা লেখক| তিনি বইটি পাওয়ার পর থেকে নানান রকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে যার মধ্য

Chaturanga (Before the beginning of Bahubali #2) by Anand Neelakantan

Image
Book Name: Chaturanga (Before the beginning of Bahubali #2) Author: Anand Neelakantan Published by: Westland Publication After a prolonged wait for more than a couple of years, “Chaturangha”, the second book in the Bahubali series got released. To be honest I was looking forward to the release of the book. Without much ado lets dive in to the book. The first part of the series, we had a glimpse of the coup that was carried out by the Vaithalikas and a brief introduction to the different characters with whom we were already familiar.  The second part contains a brief recall of the first book and a brief introduction to different characters. At the very beginning we see Shivagami battling with Thimma much to the entertainment of the crowd. Subsequently we learn about her rise to the title of bhoomipathi and how she plans on taking revenge for her family.  Glimpses of the cruel acts of Bijjaladeva are described along with the scenarios where he disguises his acts.  The book has miserably

ধূমাবতীর মন্দির - মনীষ মুখোপাধ্যায়

Image
  বইয়ের নাম: ধূমাবতীর মন্দির লেখক: মনীষ মুখোপাধ্যায় প্রকাশন: বেঙ্গল ট্রইকা পাবলিকেশন  হিন্দু শাস্ত্রে আমরা অনেক দেব দেবীদের নাম শুনেছি এবং তাহাদের বিষয়ে আমরা বিস্তরে অনেক জেনেছি| দেবী ধূমাবতী এর ব্যাপারে সেটা বলা চলে না| সত্যি বলতে মনীষ মুখোপাধ্যায় এর লেখা ধূমাবতীর মন্দির বই টি না পড়লে আমি জানতেই পারতাম না যে হিন্দু শাস্ত্রে এরম একটি তান্ত্রিক দেবীর অবস্থান আছে| বইটি পড়তে গিয়ে এই দেবীর বিষয়ে অনেক তথ্য সামনে আসে| লেখক খুব সুন্দর ভাবে সেই তথ্য গুলো কে ব্যাখ্যা করেছেন এবং তারই সঙ্গে কিভাবে একটা লোকের অপকৃতি তার পরিবার কে ধংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে সেটিও দেখিয়েছেন| বইটি পড়তে পড়তে শেষ না হওয়া অব্দি নামিয়ে রাখতে পারিনি| এক কোথায় বইটা "আনপুটডাউনবলে"| তবে একটা কথা মনে হচ্ছে যে গল্পের শেষ টায়ে যেন একটু তাড়াহুড়ো দেখা গেছে|  রেটিং: ৪.৫/৫ 

ছাল -- অর্ঘ্যজীত গুহ

 গল্প: ছাল লেখক: অর্ঘ্যজীত গুহো প্রকাশনায়: কল্পবিশ্ব পত্রিকা সাপ জিব টা অনেকেই ভয়ে করে থাকি আবার আমাদের মধ্যেও এরমো অনেক ব্যক্তি আছেন যারা তাদের পূজা করে থাকে। সে যাই হোক আসল কথা হচ্ছে তাহারাও একটি সজিব প্রাণী। আঘাত করলে তাহাদেরও কষ্ট হয়, তাহাদেরও রক্তক্ষয় হয় এবং তাদেরও পরিবার থাকে। যখন আমরা নিজেদের সাহস বা ক্ষমতা দেখিয়ে তাদের আঘাত করি বা তাদেরকে মেরে ফেলি, তার পরে তারাও কি নানান রূপে আঘাতকারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম? আপনারা ভাবছেন আমি সাপ নিয়ে এতো কথা কেনো বলছি! আসলে এই গল্পের সিংহভাগ তাই সাপ কে ঘিরে। এবার গল্পে আসি। প্রতীক ও মনীষা তাদের ছোট্ট ৩ বছরের শিশু কে নিয়ে সুখে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছে। হটাত সেই সুখের জিবনে বাঁসা বাঁধলো একটি চামড়ার রোগ। রোগ টা হয় মনীষার (এখানে আমি ক্ষমা ছেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে, তার কারণ হলো লেখক অনেক গবেষণা করে রোগটার সাইন্টিফিক টার্মিনোলোজি দিয়েছে ঠিকই, তবে সেটা মনে করতে গেলেই মাথার ভিতর টা কেমন গম গম করে ওঠে)। সে যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি, মনীষা রোগ টি খুব অদ্ভুত ধরনের এবং ডাক্তার দেখিয়েও ঠিক সুরাহা হয় না। এদিকে প্রতীকের দুশ্চিন্তার অব্দি নেই। এ